মেলবোর্নে পাকিস্তানকে ৭৯ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের হারটা যদিও অভাবনীয় নয়, তবে হারের ধরনটা বেশ নাটকীয়। ৩১৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৫ উইকেটে ২১৯ রান তোলে পাকিস্তান। এরপরই ধস নামে ইনিংসে, শেষ ১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করে শান মাসুদের দল। থমকে যায় ২৩৭ রানে।
টস হেরে ব্যাট করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ৫৬ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মিচেল মার্শ ও স্টিভেন স্মিথের ব্যাটে ভর করে ২৬২ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। মার্শ ৯৬ ও স্মিথ ৫০ রান করেন। ৩১৮ রানের লিড পায় অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দলীয় রান ৫০ ছোঁয়ার আগেই জোড়া উইকেট হারায় তারা। ৪ রান করে আব্দুল্লাহ শফিক ও ১২ রানে আরেক ওপেনার ইমাম উল হক আউট হন। তবে এরপর দলের হাল ধরেন শান মাসুদ ও বাবর আজম।
দু’জন মিলে গড়েন গুরুত্বপূর্ণ ৫১ রানের জুটি। ৬০ রান করে কামিন্সের বলে আউট হন পাকিস্তান অধিনায়ক মাসুদ। ইনিংস বড় করতে পারেননি বাবর আজমও। হ্যাজলউডের শিকার হওয়ার আগে ৪১ রান আসে তার ব্যাটে। দ্রুত ফেরেন সৌদ শাকিলও, ২৪ করে তিনি।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমান মিলে ধরেন ইনিংসের হাল। জুটি বড় হওয়ার আগেই রিজওয়ানকে থামান কামিন্স। যদিও এই আউট নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে ৩৫ রান নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রিজওয়ানকে। ২১৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মাত্র ১৮ রান তুলতেই শেষ চার উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। লড়াইয়ের আভাস দিয়েও হেরে যায় ম্যাচটা। পাকিস্তানের এই হারে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের তৃতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে সিডনিতে ৩ জানুয়ারি।
এই ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট পেয়েছেন প্যাট কামিন্স। তিনি প্রথম ইনিংসেও ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। এ কারণে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন অজি অধিনায়ক। এছাড়াও ৪ উইকেট পেয়েছেন মিচেল স্টার্ক।